পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরের বদরগঞ্জে নিলুফা ইয়াসমিন (২৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেননি, বরং তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী সহিদার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রংপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান পিপিএম জানান, শনিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে বদরগঞ্জ থানাধীন কচুবাড়ির হাট থেকে সহিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি বদরগঞ্জ থানাধীন ছোট হাজীপুর তেলিপাড়া গ্রামে।

পুলিশ সুপার জানান, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে স্থানীয় বাজারে নৈশপ্রহরীর ডিউটি শেষ করে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন দুপুরে তাঁকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য ডাকাডাকি করেন স্ত্রী নিলুফা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিলুফাকে গলা টিপে হত্যা করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নিলুফা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার চালান সহিদার। এ ঘটনায় নিলুফার পরিবারকে মামলা করতে দেননি সহিদার। এমনকি ময়নাতদন্ত ঠেকানোরও চেষ্টা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন রংপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি নিলুফার মৃত্যুর ফরেনসিক প্রতিবেদন পুলিশের কাছে এলে সন্দেহভাজন স্বামী সহিদারকে শনিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিলুফাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন সহিদার। রাতেই নিলুফার বাবা আব্দুল মমিন বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।