পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ছেলের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মা যুথিকা বালা (৫৫)। এ ঘটনায় মামলার ৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৯টায় পুলিশ সুপার সুপার শরীফুল ইসলাম (পিপিএম) এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার বলেন, উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের বয়স্ক মা নিহত যুথিকা বালাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাঁর ছেলে যতিশ বালা (৩২)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মূল রহস্য উন্মোচনে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে নাজিরপুর থানা ওসি শাহ আলম হাওলাদার ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিবের অভিযানে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও মূল আসামি যতিশকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহতের বাসার সব জিনিসপত্র স্বাভাবিক অবস্থায় পেলেও বাসার ব্যবহৃত ‘দা’ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখনই পুলিশের সন্দেহ হয় ঘটনার সঙ্গে ভিকটিমের আপনজনেরাই জড়িত। একপর্যায়ে ছেলে যতিশ বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেন। এর পরেই আসামির তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পাশের ডোবা থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় দা এবং রক্তমাখা গেন্জি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে যতিশ বালা খুনের লোমহর্ষ বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমার মায়ের খুনের জন্য আমি নিজেই দায়ী, আমার মা আমাকে প্রতিনিয়ত জ্বালাতন করত, আমার স্ত্রীকেও জ্বালাতন করায় আমাকে ছেড়ে চলে যায়। তাই আমি আমার মাকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১১টায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহত যুথিকা বালার স্বামী নারায়ণ বালা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শনিবার (১৩ জুলাই) গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।