পুলিশের হেফাজতে উদ্ধার ভিকটিম। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

মেয়েজামাইকে ফাঁসানোর জন্য জীবিত মেয়েকে লুকিয়ে রেখে জামাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মেয়েকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পিবিআই, নেত্রকোনা জেলা। এতে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পিবিআই।
জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানাধীন চন্দলাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে তাঁর স্বামী বিদ্যা মিয়ার বাড়ি থেকে গত ১৮ এপ্রিল নিখোঁজ হন। ২৩ এপ্রিল আব্দুল খালেক নেত্রকোনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোর্ট পিটিশন করেন। এতে বাদী উল্লেখ করেন, বিদ্যা মিয়া বাদীর মেয়ে ভিকটিমকে অজ্ঞাত স্থানে পাচার করে হত্যা করে গুম করেছে। আদালত পিবিআই, নেত্রকোনা জেলাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবীর তত্ত্বাবধানে এসআই (নি.) মো. আমিনুজ্জামান মামলার অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাদী মো. আব্দুল খালেকের মেয়ের সাথে বিদ্যা মিয়ার বিয়ে হয়। তাঁদের একটা পুত্রসন্তান হয়। গত ১৮ এপ্রিল থেকে ভিকটিমকে তাঁর পিতা বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন এবং সর্বশেষ ঢাকা জেলাধীন তুরাগ থানার শহীদুল্লাহ বাসায় রেখে আসেন এবং পিবিআইয়ের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে থাকেন। পিবিআই, নেত্রকোনা জেলা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, এ মামলার বাদী আব্দুল খালেক তুরাগ থানাধীন শহীদুল্লাহর বাড়িতে নিজেই রেখে বিদ্যা মিয়াকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
পিবিআইয়ের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি চৌকস দল গতকাল ৯ জুলাই সকালে ওই বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে শহীদুল্লাহর স্ত্রী মোছা. আলেয়া আক্তার আদালতে জবানবন্দিতে বলেন, ভিকটিমের বাবা-মা কথিত ভিকটিমকে তাঁদের বাড়িতে রেখে আসেন। এরপর তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও খালাশাশুড়ির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।