পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নড়াইল জেলা পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্য এবং ডাকাতির মালপত্র কেনা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লুণ্ঠিত মালপত্র।

গত রোববার (৭ জুলাই) জেলার নড়াগাতী থানাধীন পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চাপাইল ব্রিজের নিচ থেকে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ ও নড়াইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লুণ্ঠিত পণ্যের দুই ক্রেতাকে।

গ্রেপ্তার ডাকাতেরা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা এলাকার আল-আমিন (৩১) ও মো. তারিকুল ইসলাম (৩২), খুলনার তেরখাদা থানা এলাকার মো. জাকির হোসেন মোল্লা (৩৮), মো. রাকিবুল ইসলাম (৩৩) ও গোলাম রসুল (৩৪) এবং নড়াইলের নড়াগাতী থানা এলাকার অরুন ভৌমিক (৫২)। তাঁদের মধ্যে জাকিরের বিরুদ্ধে তিনটি এবং রসুলের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা আছে।

লুণ্ঠিত পণ্যের দুই ক্রেতা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা এলাকার অমৃত বালা (৩৯) এবং নড়াইলের লোহাগড়া থানা এলাকার অপরেশ সিকদার (৩৫)। তাঁরা দুজনই স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

সোমবার (৮ জুলাই) নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২ জুলাই নড়াইলের নড়াগাতী থানাধীন নলামারা গ্রামের মো. মফিজুর রহমান চৌধুরীর (৩৫) বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির লোকজনকে বেঁধে ফেলেন। এরপর ৫১ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি টেলিভিশন, চারটি স্বর্ণের চেইন, তিন জোড়া কানের দুল ও দুটি আংটি লুট করে পালিয়ে যান।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় নড়াগাতী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। তদন্তের একপর্যায়ে নড়াগাতী থানাধীন পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চাপাইল ব্রিজের নিচ থেকে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও নড়াগাতী থানা-পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি স্বর্ণের চেইন, দুটি স্বর্ণের চুড়ি, দুটি স্বর্ণের হার, পাঁচ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, চারটি স্বর্ণের আংটি, দুটি স্বর্ণের ভাঙা চুড়ি, দুটি রুপার নূপুর। এ ছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদা, ছোড়া ও চাপাতি জব্দ করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন চরমানিকদিয়া গ্রাম থেকে ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা অমৃতকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি স্বর্ণের চেইন ও গলিত স্বর্ণ। চোরাই স্বর্ণের অপর ক্রেতা অপরেশকে নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন বড়দিয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় গলিত ১৪ আনা স্বর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশ সুপার।