সিলেটের জালালাবাদ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪টি ট্রাক থেকে ২১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি)
উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ৬ জুন ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, কোম্পানীগঞ্জ এলাকার ভারতীয় সীমান্ত থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি ট্রাকযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভারতীয় এ চিনির চালান অনেকগুলো ট্রাকে লোড করে কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত হতে জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজারের উমাইরগাঁও ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে অতি কৌশলে কতিপয় চোরাকারবারির ছত্রচ্ছায়ায় পুলিশি পাহারা এড়িয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করবে। এ সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ওই ফোর্স শিবেরবাজার এলাকার উমাইগাঁওয়ে ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় ভারতীয় চিনিভর্তি ১৪টি ট্রাক গাড়ির একটি বিশাল বহরসহ চোরাচালানিদের সম্মুখভাগে পুলিশি নজরদারি নিরীক্ষা পার্টি বহনকারী একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল ফেলে ট্রাকের চালকসহ সকল চোরাকারবারি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাৎক্ষণিক ১৪টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেট কার ও ১টি (মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
আটককৃত ১৪টি ট্রাকে থাকা ২১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি, যার প্রতি বস্তায় ৫০কেজি হিসাবে ১,০৫,৭০০ কেজি ভারতীয় চিনি, ১৪টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেট কার ও ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় চিনির আনুমানিক বাজারমূল্য, প্রতি কেজি ১৬০ টাকা ধরে (১৬০X১,০৫,৭০০)= ১,৬৯,১২,০০০/-(১ কোটি ৬৯ লাখ ১২ হাজার) টাকা।
পরে আটককৃত মালামালসহ থানায় হাজির হয়ে এসআই (নিঃ) মো. সালাহ্ উদ্দিন বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত চোরাকারবারিদের শনাক্তকরণসহ নাম-ঠিকানা সংগ্রহে জালালাবাদ থানা-পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।