ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেছেন, রাজধানীতে এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। জোর করে এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার পশুর হাটকেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গরু কোন হাটে যাবে, তা ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ট্রাকের সামনে ব্যানারে লিখে রাখবেন। প্রয়োজনে ব্যানারে হাটের ইজারাদারের মোবাইল নম্বর লিখে রাখবেন। অন্যথায় হাইওয়ে এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় ডিএমপি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, যেখানে গরুর হাট নেই, সেখানে যেন হাট না বসে; তা ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা দেখবেন। নৌকা বা ট্রলারে গরু এলে সেগুলো নৌ পুলিশ দেখভাল করবে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপি নৌ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গরুর হাটে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় পুলিশ ও হাটের ইজারাদারেরা সমন্বয় করে কাজ করবেন। হাট পরিচালনা কমিটি হাটে স্থানীয় পুলিশের নম্বর প্রদর্শন করে ব্যানার টানাবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলবেন এবং সেখানে একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাস্তায় যাতে যান চলাচলে অসুবিধা না হয়, এ জন্য ইজারাদারেরা ব্যারিকেড দিয়ে হাটের সীমানা নির্ধারণ করে দেবেন। জাল নোট শনাক্তকরণে পুলিশ সহায়তা করবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। হাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। ইজারাদারেরা মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করবেন।
সভায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা, জাল নোট শনাক্তকরণ, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, নৌ পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিপিডিসি, ডেসকো ও ডিএনসিসির প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগরের সব গরুর হাটের ইজারাদার ও সাংবাদিকেরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।