সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ি, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং জলাবদ্ধতার কারণে যানজটকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে টিম ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
গতকাল বুধবার ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের নেতৃত্বে এডিসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) সুলতানা ইশরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে এ বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রচারণামূলক কর্মসূচি ছাড়াও ২৮৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খবর ডিএমপি নিউজের।
সড়কের শৃঙ্খলা আনার ক্ষেত্রে প্রচারের নিমিত্তে ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী এবং ডেমরা এলাকার মোট ৪০টি জ্বালানি পাম্পে “নো হেলমেট, নো ফুয়েল” এর স্টিকার লাগানো হয়।
পরে লুকিং গ্লাস না থাকার জন্য চারটি বাহাদুর শাহ্ গাড়ি এবং ফিটনেসবিহীন তিনটি লেগুনাকে আটক করা হয়। যাত্রাবাড়ী মোড়ের ফলপট্টি হিসেবে পরিচিত রাস্তার ওপরের কাঠের চৌকি সম্মিলিত সমস্ত দোকান উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের ধারাবাহিকতায় কুতুবখালী ইনকামিং ফ্লাইওভারের পকেট গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ফ্লাইওভারের এই অংশটুকুর দেয়াল ভাঙা থাকার কারণে সকল লোকাল বাসের যাত্রী ফ্লাইওভারে ওঠার আগে এবং ফ্লাইওভার থেকে নেমে ওই স্থান দিয়ে পায়ে হাঁটা সড়কে প্রবেশ করেন। ফ্লাইওভারের ওপরে গাড়িগুলো যখন যাত্রী ওঠানামা করায়, তখন পেছনে যানজট রায়েরবাগ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
সারা দিনে এসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) কপিল দেব গাইন, এসি (ট্রাফিক-যাত্রাবাড়ী) তানজিল আহমেদ এবং এসি (ট্রাফিক-ডেমরা) মুস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌসের টিম সমগ্র ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলা, রেকার এবং যানবাহন আটকসহ মোট ২৮৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম জানান, ইতিপূর্বে আমরা ট্রাফিক ওয়ারী ডিভিশনের সকল লেগুনা গাড়ির ৮৮৪টি লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করেছি। বাহাদুর শাহ গাড়িকে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। ফিটনেস এবং লুকিং গ্লাস না থাকার কারণে চারটি বাহাদুর শাহ গাড়ি আটক করা হয়েছে। বাহাদুর শাহ এবং সমস্ত লেগুনা গাড়িকে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে চালানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এভাবে আস্তে আস্তে প্রতিটি ফিটনেসবিহীন এবং চলাচলের অনুপযোগী গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।