
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেছেন, সর্বসাধারণের প্রতি উত্তম ব্যবহার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ চালু রাখতে হবে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার সকালে ট্রাফিক রমনা বিভাগের সদস্যদের সঙ্গে ব্রিফিং প্যারেডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. জয়নুল আবেদীন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
ব্রিফিং প্যারেডে ট্রাফিক রমনা বিভাগের কনস্টেবল থেকে টিআই পদমর্যাদার তিন শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত ফোর্সদের পোশাক, নারী সার্জেন্টদের ওয়াশরুম, অতিরিক্ত জ্বালানি তেল সরবরাহ, সরবরাহকৃত মালামালের বিভিন্ন সমস্যা, ফোর্সের আবাসন সমস্যা ও ডিউটিতে সাপ্তাহিক ডে অফ রাখার বিষয়ে ফোর্সের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
ব্রিফিং প্যারেডে উপস্থিত ট্রাফিক রমনা বিভাগের পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানী ঢাকা একটি জনবহুল শহর। সোয়া দুই কোটি লোক বসবাস করে এখানে। আবার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে। এ শহরের মূল চ্যালেঞ্জ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা। তাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘যানজটের কারণ অনেক। সাধারণ মানুষ ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। যানজটের জন্য যে কেবল ট্রাফিক পুলিশ দায়ী নয়, সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের টিআই ও সহকারী পুলিশ কমিশনারদের দায়িত্ব হলো ক্রাইম বিভাগ তথা অফিসার ইনচার্জগণের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করা। পাশাপাশি স্কুল-কলেজের গাড়ি যেন রাস্তায় না রাখা হয়, সে ব্যপারে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করতে হবে।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, তাঁদের হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি। ইতিমধ্যে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগে হেলথ চেকআপ শুরু হয়েছে। সেটা শেষ হলেই ট্রাফিক রমনা বিভাগে হেলথ চেকআপ শুরু হবে।’