
ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যৌথ উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ও ২ আগস্ট ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ।
পুলিশ এখন সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্ট ফর্ম (এআরএফ) ব্যবহার করে, যা মামলার সঙ্গে জড়িত। ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনার তথ্য বাদ পড়ে যায়।
সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহের বর্তমান পদ্ধতি মূল্যায়নের পর জাইকা বিশেষজ্ঞ দল (জেইটি) একটি নতুন পদ্ধতির সুপারিশ করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো ডেটা সংগ্রহে কম গুরুতর দুর্ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত করা।
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ পদ্ধতি উন্নত করার জন্য ডিআরএসপি রোড ক্র্যাশ ফর্ম (আরসিএফ) নামে একটি দুর্ঘটনা রিপোর্ট ফর্ম চালু করেছে। এ ছাড়া জাইকা বিশেষজ্ঞ দল একটি আধুনিক ওয়েকভিত্তিক দুর্ঘটনা ডেটাবেজ স্থাপন করেছে যাতে আরসিএফ ও এআরএফ ডেটা নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়।
আরসিএফ ব্যবহার করে কীভাবে দুর্ঘটনা রেকর্ড করতে হয়, কীভাবে সেই ডেটা স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনে ইনপুট করতে হয়, এসব বিষয়ে কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য কীভাবে দৃশ্যমান ও বিশ্লেষণ করা হবে, সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কর্মশালায় একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার, ২৫ জন সহকারী কমিশনার ও ১০২ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।