জাইকার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ‘স্ট্রেনদেনিং ক্রাইম প্রিভেনশন ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ দেশে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।

জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তোমোহিদে ইচিগুচির হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

সোমবার (২২ মে) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ‘স্ট্রেনদেনিং ক্রাইম প্রিভেনশন ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তোমোহিদে ইচিগুচি।

অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান বিপিএম (বার), পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক (পুলিশ সুপার) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজধানীর মহাখালী আবদুল আজিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), অতিরিক্ত আইজিপি ‌আবু হাসান মুহম্মদ তারিক বিপিএম, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ, জাইকার কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রাজধানীর বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ডিএমপির বিভিন্ন থানার ওসিগণ উপস্থিত ছিলেন।

জাপানকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে পুলিশপ্রধান বলেন, জাইকা পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ কোর্সও করানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এর ফলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়বে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে, যা বঙ্গবন্ধুর ‘জনগণের পুলিশ’ গঠনে সহায়ক হবে।

আইজিপি বলেন, এ প্রকল্পের একটি বিশেষ দিক হলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা, যা তাদেরকে ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রাজধানীর বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাইকার আর্থিক সহায়তায় এ ধরনের কর্মসূচি এক নবযাত্রার সূচনা করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, এ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিশেষ পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া, নিরাপদে রাস্তা পারাপার, প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছে, যা তাদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।