যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই মুক্তি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ট্রাম্পকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার মামলায় প্রথমবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিন ট্রাম্প আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, মুক্তি পাওয়ার পর আইনগত প্রক্রিয়া সেরে দ্রুত ম্যানহাটান আদালত চত্বর ছাড়েন ট্রাম্প। আদালত চত্বর ছাড়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেও এড়িয়ে যান।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলার আসামি হলেন। আর এ ঘটনায় ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে নাকি উল্টো শাপে বর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইনগত দিক থেকে ট্রাম্পের জন্য এই মামলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।

সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। ড্যানিয়েলসের অভিযোগ, ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল ড্যানিয়েলসকে।

তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছিলেন, আইনি জটিলতা থাকলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে পিছু হটবেন না তিনি। সূত্র: আজকের পত্রিকা।