চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ওই থানা এলাকা থেকে ‘চাকমা রুবেল দল’-এর ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে পুরোনো রেলস্টেশন রোড এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। খবর জাগো নিউজের।
গ্রেপ্তার ডাকাতেরা হলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার মুছাপুর রংমেলা বাজার এলাকার মো. রুবেল ওরফে চাকমা রুবেল (৩২), কুমিল্লার মুরাদনগরের ছালিয়াকান্দি গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মো. আলামিন (৩০), বাঙ্গুরা বাজারের ফুলঘর গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ ওরফে মোহাম্মদ আলীর ছেলে দ্বীন ইসলাম ওরফে মুন্না (৩১), তিতাস থানার বন্দরামপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আহসান উল্লাহ মুন্সীর ছেলে মনির হোসেন (৩৮), চট্টগ্রামের পটিয়ার দাইয়াপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলম ওরফে সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে রমজান হোসেন রুবেল (৩২), কোলাগাঁও গ্রামের মৃত শামসুল আলম ওরফে জাফরের ছেলে মো. বাদশাহ (২৮) ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার টামটা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন বাবু (৩০)।
তাঁদের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবীর।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পুরোনো রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত চাকমা রুবেল গ্রুপের প্রধান চাকমা রুবেলসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে সাতটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ডাকাতেরা গভীর রাতে ও ভোরের দিকে মহাসড়কের চলাচল করা বাসের যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতি ছিনতাই করে আসছিলেন। তাঁরা এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড, ফৌজদার হাট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মইজ্জারটেক, পটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, ডাকাত চাকমা রুবেলের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন আইনে নগরীর কয়েকটি থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। তাঁর দলের মো. আলামিনের বিরুদ্ধে দুটি, রমজান হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে আটটি, শাহাদাৎ হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে তিনটি, মো. বাদশাহের বিরুদ্ধে একটি, দ্বীন ইসলাম ওরফে মুন্নার বিরুদ্ধে দুটি ও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।