ভ্রমণের সময় যাত্রীদের মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব যাত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, ভ্রমণের সময় মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে চলুন। এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ট্রেন। সুতরাং, প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত।
তিনি যাত্রীদের মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখতে এবং যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, এই মেট্রোরেল ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি চলতেই থাকবে। সুতরাং, নিয়ম এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করে এটি ব্যবহার করুন। প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারের সময় মনে রাখা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার সময় চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সেই সমস্ত প্রকল্প সম্পন্ন করেছি।
মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পর্কে সরকারপ্রধান বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রাথমিকভাবে বিজয় সরণির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল রুট তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে আমার ঘোর আপত্তি ছিল। তাহলে আমাদের তেজগাঁও বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হতো, যেটির ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। একটা তৈরি করা এয়ারপোর্ট নষ্ট হোক, আমি চাইনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণ করেছি। সেই সময়, মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনটি তার বাঁক এবং অবতরণের জায়গার জন্য ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছিলাম, এত বড় স্টেশন ভেঙে আরেকটি নির্মাণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছি, স্টেশনটিকে অক্ষত রেখে আমরা কীভাবে এটি করতে পারি। প্রয়োজনে মেট্রোরেল স্টেশনের ওপর দিয়ে যাবে বা তার বাঁক নেওয়ার জন্য অন্য জায়গা খুঁজে নেবে। এখন, এটি সেইভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে।