ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকা এসেছেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। খবর বাসসের।

সুলতান ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি বিমান (রয়েল ব্রুনেই) আজ বেলা ২টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও উচ্চপদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ব্রুনেইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

ব্রুনেইয়ের রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকায় এসেছেন।

চলমান মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি হামিদ ব্রুনেইয়ের সুলতানকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।  

সফররত প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও এ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে সুলতানকে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল ২১ বার তোপধ্বনিসহ সুলতানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথমবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের উত্তর উপকূলে স্বাধীন ইসলামি সালতানাত ব্রুনেইয়ের সুলতান ঢাকা সফরে এলেন।  

মহামান্য রাষ্ট্রপতি হামিদ এবং সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ উভয়েই নিজ নিজ দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান উপভোগ করেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে উভয়েই নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের একে অপরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের পর সুলতান রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যান।

সেখানে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সেখানে তিনি একটি চারা গাছ রোপণ এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

ব্রুনেইয়ের সুলতান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন।