
আফ্রিকা মহাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ দক্ষিণ সুদানে বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষী মিশন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদকে ভূষিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আনমিস-এ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৮ সেপ্টেম্বর এ পদক প্রদান করা হয়।

দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় ইউএন হাউসে ‘মেডেল প্যারেড সেরেমনি অব বাংলাদেশ ইউএনপোল কন্টিনজেন্ট, আনমিস’ শীর্ষক পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনমিস পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন ফসেন। তিনি মিশনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ পুলিশের ২৪ জন কর্মকর্তাকে এ সম্মানজনক পদক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, আনপোল চিফ অব স্টাফ মুরাদ ইসক, আনপোল চিফ অব অপারেশন্স ফেল্লি বাহিজি রুটাগেরুরা ও জুবা সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম আতিকুর রহমান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আনপোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার, ব্যানইঞ্জিনিয়ার (আরপিএএফ)-৫, ব্যানইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন/২১, ব্যানএফএমইউ, নেপাল ও রুয়ান্ডা কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এবং আনমিসের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়তের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পর্যাপয়ক্রমে জাতিসংঘ, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ সুদানের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ আনপোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বাছির উদ্দিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এরপর বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশের ওপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এসব প্রদর্শনীতে বাংলাদেশেল ভৌগলিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থান, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরে পুলিশ সুপার শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজীর নেতৃত্বে পদক গ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তারা প্রধান অতিথির কাছ থেকে জাতিসংঘ পদক গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি আনমিস পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন ফসেন তাঁর বক্তব্যে আনমিসসহ বিভিন্ন শান্তিরক্ষা কার্যনক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রশংসার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যুক্রমে সদস্যদের পাঠানো অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশীকাঁথাসহ বাংলাদেশেল পরিচিতি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী প্রদান এবং বহুল সমাদৃত বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ আনপোল কন্টিনজেন্টের ডেপুটি কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপণী বক্তব্য দেন।