মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় সুমি আক্তার (২২) নামের এক নববধূকে গলা কেটে হত্যার এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর স্বামী মো. রাসেল মোল্লা রূপককে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (২৭ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২১ জুলাই সকালে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানাধীন শোলধারা এলাকায় ভুক্তভোগী সুমির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২২ জুলাই ঘিওর থানায় রূপককে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তদন্তের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামি রূপকের সংশ্লিষ্টতা মেলে। অবস্থান শনাক্ত করার পর কেরানীগঞ্জ থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সিআইডি জানায়, মানিকগঞ্জ জজকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন রূপক। গত ১৫ মে একই থানাধীন কাকজোর গ্রামের মো. রহম আলীর মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই একটি বেসরকারি সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন সুমি। বিয়ের পরও চাকরি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয় দুই পরিবার। কিন্তু বিয়ের পর রূপকের পরিবারের সদস্যদের মত পাল্টে যায়। তাঁরা সুমি আক্তারকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান সুমি। কিন্তু দক্ষ কর্মী না মেলা পর্যন্ত তাঁকে চাকরি করতে অনুরোধ করে অফিস কর্তৃপক্ষ। এর জেরে সুমির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন রূপক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ জুলাই সকালে সুমি ও রূপকের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমিকে মারধর শুরু করেন রূপক। পরে ধারালো দা দিয়ে সুমির গলায় কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান আসামি রূপক।