যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটির পার্লামেন্টে দলীয় সদস্যদের অনাস্থা ভোটে জিতে গেছেন। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তিনিই থাকছেন। শুধু তা-ই নয়, অনাস্থা ভোটে তিনি জয় পাওয়ায় পরবর্তী এক বছরের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আর অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবেন না পার্লামেন্টে তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, সে বিষয়ে স্থানীয় সময় ৬ জুন (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্য ন্ত ভোট দেন তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা। ভোটের ফল প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায়। এতে দেখা যায় বরিস জনসনের (৫৭) পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে। বিপক্ষে পড়েছে ১৪৮টি ভোট পড়ে। যদিও জেতার জন্য জনসনের ১৮০ ভোটের প্রয়োজন ছিল। অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হতো বরিসকে।

আস্থা ভোটে জিতে যাওয়ার পর বরিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি এবং যে বিষয়গুলো সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ সে সবের ওপর আলোকপাত করতে পারি।’

করোনাভাইরাসের বিধিনিষিধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির আয়োজন করেছিলেন বরিস জনসন। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমাও চাইতে হয় তাকে। কারণ করোনার বিধিনিষেধের সময় এমন আয়োজন নিষিদ্ধ ছিল। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে কয়েক দফা তদন্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে দুই সপ্তাহ আগে ওই ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে থেকেই বরিসের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন অনেকে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেই দাবি জোরালো হয়।

কনজারভেটিভ পার্টির ‘১৯২২ কমিটি’ দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে। এই কমিটিতে দলটির ১৫ শতাংশ আইনপ্রণেতা যদি চিঠি দিয়ে দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন, তবে তা অনাস্থা ভোটে গড়ায়। ওই কমিটি ৬ জুন বরিস জনসনের নেতৃত্বের ওপর এ অনাস্থা ভোটের আয়োজন করে।