বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা ২০২২ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যে যেই ধর্মেরই হোক না কেন, ধর্ম প্রতিপালনের মাধ্যমে মানুষের নৈতিক মনোবল সুদৃঢ় হয়। কারণ, সকল ধর্মেই ভালো কাজ করার উপদেশ দেওয়া হয়, অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
আইজিপি বলেন, পবিত্র কোরআন একটি সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা। একজন মুসলমানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরআনের আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম। এ সময় অতিরিক্ত আইজিগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ, বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য এবং মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
আজানে প্রথম হয়েছেন নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার এএসআই এম মহিউদ্দিন। দ্বিতীয় হয়েছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশের কনস্টেবল মো. মনিরুল ইসলাম এবং তৃতীয় হয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের কনস্টেবল মো. মুসলিম উদ্দিন।
কেরাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ (এসবি), ঢাকার কনস্টেবল মো. শরীফ উদ্দিন, দ্বিতীয় হয়েছেন র্যাব-১৩, রংপুরের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীর নায়েক মো. আরিফুর রহমান।
‘জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার এএসআই এম মহিউদ্দিন, দ্বিতীয় হয়েছেন স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ (এসবি), ঢাকার উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবির এবং ৩য় হয়েছেন টিঅ্যান্ডআইএম, ঢাকার বেতার কনস্টেবল মো. ইব্রাহীম হোসেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটের সাব-ইন্সপেক্টর থেকে তদনিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্য এবং সিভিল স্টাফগণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীরা আজান দেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করে শোনান।
