
নাগরিকের সুরক্ষা বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সম্প্রতি ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ কর্মসূচি শুরু করে। এরই মধ্যে এই কর্মসূচির সুফল পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। সর্বশেষ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আলমগীর মাহমুদ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির ফেলে যাওয়া ল্যাপটপ ও অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এক দিনের মধ্যে উদ্ধার করেছে সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ।
চট্টগ্রাম নগরীতে চলাচল করা ১৩ হাজার অটোরিকশাকে তথ্যভাণ্ডারের আওতায় আনতে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ ডেটাবেইসের কাজ শুরু করে সিএমপি। এ প্রক্রিয়ায় যাত্রীরা মুঠোফোন থেকে জেনে নিতে পারবেন মালিক ও চালকের সব তথ্য, যা অটোরিকশায় চলাচল নিরাপদ করবে।
যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামার সময় ভুলবশত ল্যাপটপ ও ব্যাগ রেখে নেমে যান তিনি। পরে ওই দিনই ডবলমুরিং থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে জিডি করতে বলেন। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ট্রাফিক-পশ্চিম বিভাগ আগ্রাবাদ অফিসে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। এরপর ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ ডাটাবেইসের সহায়তায় আলমগীর মাহমুদ চৌধুরীর ব্যবহৃত অটোরিকশার চালকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।
ট্রাফিক পুলিশ যোগাযোগ করার পর অটোরিকশাটির চালক জানান, তিনি যাত্রীর ব্যাগটি পেয়েছেন এবং ব্যাগটি অটোরিকশার মালিক মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে রেখেছেন। পরে অটোরিকশার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাগ, সিএনজি চালকসহ আগ্রাবাদ ট্রাফিক-পশ্চিম অফিসে আসেন এবং যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরীর হারিয়ে যাওয়া ব্যাগসহ সব মালামাল বুঝিয়ে দেন।
হারিয়ে যাওয়া ব্যাগসহ সব মালামাল ফিরে পেয়ে সিএমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় ডিসি (ট্রাফিক-পশ্চিম) জনাব মো. তারেক আহম্মেদ বলেন, গাড়িতে ওঠার সময় যেন সবাই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করেন। গাড়ির মালিক, চালক এবং যাত্রীর জন্য সিএমপির এই উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
এ সময় ডিসি ট্রাফিক-পশ্চিম সব গাড়ির মালিক ও চালকদের নিজের গাড়ি নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ ডেটাবেইসে নিবন্ধনের জন্য অনুরোধ করেন।