
মো. গোলাম সাকলাইন সাজন ও গোলাম রাব্বানী রাজন যমজ ভাই। দরিদ্র পরিবারের এই দুই সন্তান ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছ। এরপর তারা রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসিতে ভর্তির সুযোগও পেয়েছে। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে সাজন ও রাজনের কলেজে ভর্তি হওয়া ও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
সাজন ও রাজন রাজশাহীর বাঘা থানার মনিগ্রামের মো. আব্দুস সামাদের ছেলে। আব্দুস সামাদ পাঁচ বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর স্ত্রীসহ যমজ দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার। আব্দুস সামাদ এক সময় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর পরিবারটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে পড়েছে। এখন সাজন ও রাজনের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়াই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি) নামের একটি সামাজিক সংগঠনের নজরে আসলে সংগঠনটির সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি) দেশব্যাপী ইতিবাচক, মানবিক ও সামাজিক কাজের প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। সাজন ও রাজনের বিষয়ে জানতে পেরে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসচ্ছল পরিবারটিকে পুনাক রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে ৬০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যতেও সাজন ও রাজনের পড়ালেখার বিষয়ে পুনাক, রাজশাহী জেলা শাখার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কার্যাযলয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে পুনাক, রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) সাজন ও রাজনের হাতে সহায়তার অর্থ তুলে দেন। এ সময় রাজশাহী জেলা পুলিশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি), রাজশাহী শাখার সদস্য মো. হাসান রেজা, রাকিব হোসেন এবং সাজন ও রাজনের মা মোসা. রুনা লায়লা উপস্থিত ছিলেন।