
মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেভাবে সাফল্য দেখিয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য। দেশের জনগণের কল্যাণে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
পুলিশ সপ্তাহ-২০২২-এর পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে ২৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এক সভায় মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এই মতবিনিময় সভা হয়। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম-সেবা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মো. দিদার আহম্মদ। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ যথাযথভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের সব অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশের ঈর্ষণীয় উন্নতি হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নত হওয়ায়, শান্তি বজায় থাকায় বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, দেশের অগ্রগতি হচ্ছে। আর এর পেছনে আছে পুলিশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুলিশের আধুনিকায়ন ও অগ্রগতিতে সরকার খুবই আন্তরিক। পুলিশের জনবলকাঠামোতে বিভিন্ন পদ সৃজন সরকারের সুবিবেচনায় রয়েছে। তিনি প্রস্তাবিত নতুন থানার জনবল বাড়ানো, বরিশাল ও মৌলভীবাজার জেলায় দুটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসি) জনবল অনুমোদনের প্রস্তাব সুবিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি সরকারি দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
সভায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিনটি নতুন ব্যাটালিয়নের জনবল অনুমোদন, প্রস্তাবিত নতুন থানার জনবল বাড়ানো, বরিশাল ও মৌলভীবাজারে দুটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের জনবল অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশ জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সূচকেও দেশ এগিয়ে রয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা পুলিশের সিনিয়র লিডারদের জন্য নির্ধারিত বাসভবন বরাদ্দ দিতে প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাসভবন বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপের ফলে আজ বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। তিনি বলেন, এর মূলে রয়েছে পুলিশ। কারণ, পুলিশ সামাজিক শৃঙ্খলা, সামাজিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়ছে, পাশাপাশি বিদেশিরাও আমাদের দেশে বিনিয়োগ করছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।
নিরাপত্তাকে উন্নয়নের অক্সিজেন হিসেবে আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, দেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই একই গতিতে পুলিশের অগ্রগতিও প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে পুলিশের ন্যায্য বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য প্রতিমন্ত্রী দুজনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা (ওঅ্যান্ডএম) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিগণ, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।