
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে- ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/ অভিবাসনে আনব মর্যাদা ও নৈতিকতা’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ১৭ জানুয়ারি দিবসটি পালন করা হয়। ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। খবর বাসসের।
বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর (লোকাল) লুৎফুন্নাহার নাজিমের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। উপস্থিত প্রবাসীরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরাসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক অনেক সমস্যার সমাধান করেন, একই সঙ্গে সমস্যার সমাধানে করণীয় বিষয়ে উপদেশ দেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পরেই উপসাগরীয় এই দেশ প্রথম সফর করেছিলেন। ফলে উন্মুক্ত হয়েছিল এ দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কল্যাণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের আগমন শুরু হয়েছিল, যার সুফল এখনো বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় বর্তমান সরকার অভিবাসন উন্নয়ন ও অভিবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাধীনতার ৭০ বছরের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।