যেকোনো দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের গণমানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সন্ত্রাসবাদ দমন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সব সময় বাংলাদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের সরকারি পর্যায় ছাড়াও প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিপর্যায়েও এই সুসম্পর্ক বিদ্যমান। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের কর্মতৎপরতার কারণে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন, সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ এক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থ দপ্তর ও পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)-সহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন আকস্মিক একতরফা সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য মর্মাহত ও বিব্রত।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ বিরোধী একটি চক্র যারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করতে চায়, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত করতে চায়; তারাই আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপের সহায়তায় ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থাকে গোপন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করেছে।

বাংলাদেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক প্রটোকল ও কনভেনশন প্রতিপালন এবং স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা সংক্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রকৃত তথ্য ও অবস্থা মূল্যায়ন করে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং বাংলাদেশ পুলিশের চলমান আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমকে বেগবান করতে সহায়তা করবে বলে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন প্রত্যাশা করে।