গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গত ১ সেপ্টেম্বর গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় সেলিম সরদার (৩৩) নামে এক পিকআপচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রহস্য উদ্ঘাটনে গিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৭টি পিকআপ জব্দ করা হয়। মামলা দায়েরের মাত্র তিন দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আসামিরা হলেন হবিগঞ্জের বাহুবলের আহাদ (৩৪) ও মারুফ হোসেন (৩০), ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার এনামুল (২২), শেরপুর সদরের আমিনুল (২৪) ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের শামীম (২৪)। তাঁরা গাজীপুরের টঙ্গী, বাসন ও শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
জিএমপির এডিসি (অপরাধ) রেজওয়ান আহমেদ জানান, গত ৩১ আগস্ট সকালে পিকআপ নিয়ে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি সেলিম। রাত থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পান স্ত্রী ফাতেমা আক্তার। মরদেহ উদ্ধার হলেও পিকআপটি পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার রাতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বারবৈকা থেকে শ্রীপুরে একটি মিকচার মেশিন নেওয়ার কথা বলে সেলিমের পিকআপ ১৩০০ টাকায় ভাড়া করেন আসামিরা। পিকআপ নিয়ে বারবৈকা গেলে তাঁরা কৌশলে সেলিমকে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে হত্যা করে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নিয়ে পিকআপটি আহাদের কাছে বিক্রি করা হয়।