যুক্তরাষ্ট্রে বন্যা ও টর্নেডোয় অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউ জার্সিতেই মারা গেছেন ২৩ জন। আর নিউইয়র্কে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে নিউ জার্সি ও নিউইয়র্কের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। খবর প্রথম আলোর।
নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি ২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় বিকেলে বলেন, যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের অনেকেই গাড়িতে আটকা পড়েছিলেন। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও তাঁর এলাকার পরিস্থিতিকে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন।
নিউইয়র্কে যে ১৪ জন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ১১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বাড়ির বেসমেন্টে আটকা পড়ে। এ ছাড়া কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। আর পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় মারা গেছেন তিনজন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নিউইয়র্কে পাতাল রেলস্টেশনে বন্যার পানি ঢুকেছে। অধিকাংশ পাতাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লুজিয়ানার কর্তৃপক্ষ বলেছে, পানি কমে যাওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে এই সেবা চালু করতে। নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জরুরি নয়, এমন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির সঙ্গে রেল ও উড়োজাহাজ যোগাযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ মোকাবিলায় অবশ্যই ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস নিউইয়র্ক, ব্রুকলিন, কুইনস ও লং আইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি ম্যাসাচুসেটস ও রোড আইল্যান্ডে টর্নেডো সতর্কতা জারি করেছে।