৪২তম বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এই বিসিএসের মাধ্যমে মোট চার হাজার চিকিৎসক নেওয়ার কথা রয়েছে। দুই ধাপে প্রথমে ২ হাজার পরে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নেওয়া হবে। খবর প্রথম আলোর।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি সূত্র জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই ৪২তম বিসিএসের ফলাফল দেবে পিএসসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইল পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, শিগগিরই চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি। প্রার্থীদের ভাইভা শেষ। এখন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দিন-রাত এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করে যাচ্ছে পিএসসি।
তবে ফল প্রকাশে নির্দিষ্ট দিন বলেননি পিএসসির চেয়ারম্যান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথমে ৪২তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা থাকলেও এখান থেকে আরও দুই হাজার অর্থাৎ মোট ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের ইচ্ছা দ্রুত সময়েই এ চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে তাঁদের পদায়ন করা। এ বিষয়েও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
করোনার সময় দফায় দফায় পেছানো হয় ৪২তম বিসিএসের ভাইভা। পরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও করোনার সময় বিশেষভাবে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে কাজ করে পিএসসি। এ সময় জরুরি অবস্থাতেও সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কাজ করে পিএসসি।
৫ মে মৌখিক পরীক্ষা সূচি প্রকাশ করে পিএসসি বলেছিল, ৪২তম বিসিএস বিশেষ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ) উত্তীর্ণদের মধ্যে ৬ হাজার ২২ জনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩ মে। ৩০ জুন পর্যন্ত ৬ হাজার ২২ জনের ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ১৮ মে বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, বর্তমান করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি বিধিনিষেধের কারণে ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ জানানোর কথা জানিয়েছিল পিএসসি। পরে ৬ জুন শুরু থেকে আবার ভাইভা শুরু করে পিএসসি। এ পরীক্ষা আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা ছিল। করোনার কারণে সেই ভাইভা স্থগিত করা হলো। এর পরেও কয়েক বার করোনায় পিছিয়ে যায় ভাইভা।
করোনার প্রেক্ষাপটে দুই হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় (লিখিত টাইপ) ৩১ হাজার চিকিৎসক অংশ নেন। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ২২ জন।