নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার অভিযানে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পূর্বধলার দরুণ বৈরাটি গ্রামের ১৮ বছরের তরুণী সুমী কাউছার ২০২২ সালের ২২ আগস্ট রাতে টয়লেটে যাওয়ার পর চিৎকার করলে তাঁর মা দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ঘরে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে তরুণী তাঁর বুক জ্বালাপোড়া করার কথা জানান এবং কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ আগস্ট পূর্বধলা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়।

পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের পর জানতে পারে, তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পূর্বধলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেন।

সেই মামলার আসামি জোসনা বেগমকে (৪৭) তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ৫ মে গ্রেপ্তার করে পূর্বধলা থানা-পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামি স্বীকার করেন, তিনি তাঁর মেয়ে সুমী কাউসারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, সুমী কাউসার তাঁর অবাধ্য হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। ইতোপূর্বে একাধিকবার তাঁকে (জোসনা) শারীরিক আঘাত করাসহ ঘরের আসবাব ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেন। নিষেধ সত্ত্বেও এক ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন সুমী।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরও জানান, ঘটনার দিন গভীর রাতে মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকেন সুমী। মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করলে সুমী তাঁর মা জোসনাকে শারীরিক আঘাত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জোসনা তাঁর মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।