যশোর ডিবি পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার মনিরামপুর থানায় গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত মামলা করা হয়। এরপর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের (বিপিএম-বার, পিপিএম) নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করলে ডিবি পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার রূপসা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের অহিদ শেখের ছেলে আব্দুল হালিম (৩৫), বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া মাইটকুমড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে শিমুল শেখ ওরফে হৃদয় (২২), খুলনার তেরখাদা উপজেলার কুসলা গ্রামের নাসির হাওলাদারের ছেলে মিলন হাওলাদার ওরফে হৃদয় (২৬) ও রূপসা উপজেলার ইলাহীপুরের শওকত আলী শেখের ছেলে আবুল কালাম শেখ (৪০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মনিরামপুর উপজেলার বাগডোব এলাকায় আতিয়ার রহমানের (৬৩) বাড়িতে ২৭ এপ্রিল গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ব্যক্তি ঢোকেন। এ সময় ভুক্তভোগী আতিয়ার রহমান চিৎকার করতে চাইলে চোর চক্রের সদস্যরা তাঁর মুখ চেপে ধরে আঘাত করেন। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে আতিয়ারের স্ত্রী ঘুম থেকে উঠলে চোরেরা তাঁকে বেঁধে ফেলেন। তখন তাঁরা বসতঘরে থাকা দুই জোড়া স্বর্ণের দুল, ২টি টর্চ লাইট, ১টি বাটন মোবাইল, ১টি ভিভো মোবাইল ফোন, টাকা, ১টি এলইডি টিভি নেয়।

ডিবি পুলিশের হেফাজতে উদ্ধার করা দুটি গরু। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

এরপর চোর চক্রের সদস্যরা চলে যাওয়ার সময় গোয়ালঘরে থাকা দুটি গরু ও ১টি বৈদ্যুতিক পানির মোটর নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় ২ মে মামলা করেন।

পরে যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধারের জন্য মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জেলা ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন, এসআই শফি আহম্মেদ রিয়েল, এএসআই রঞ্জন কুমার বসুসহ একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাগেরহাট ও খুলনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুণ্ঠিত মালপত্র জব্দ করা হয়।