ডিবির হেফাজতে চাঁদাবাজ চক্রের গ্রেপ্তার তিন সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। চক্রটি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল।

জানা গেছে,যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাধীন শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া ভুতেরবাড়ী এলাকায় ‘ফারদিন গ্লাস অ্যান্ড প্লাস্টিক ষ্টোর’ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্যবসায়ী আশরাফুল হাসান বিপ্লবের কাছেএকই এলাকার চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা একাধিক মামলার কুখ্যাত সন্ত্রাসী জুম্মান ও তার সহযোগীরা গত ২০ এপ্রিল থেকে একাধিকবার চাঁদা দাবি করেন। বিপ্লব চাঁদা না দিলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো ও খুন জখমের ভয়ভীতি দেখান।

পরে ৪ মে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর বিপ্লবের প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জনৈক তরিকুল ইসলামের বন্ধ কারাখানার পাশ থেকে ১টি শপিং ব্যাগে রক্ষিত ২টি দেশি ওয়ান শুটার গান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি নং-৩৩১ তাং-০৫/০৫/২০২৩ মূলে থানা মালখানায় হস্তান্তর করে এবং সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখেন।

আসামী জুম্মান আবারও চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি দেখালে আশরাফুল হাসান বিপ্লব বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশে জেলা ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকারের তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করে চাঁদাবাজ ও অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

এরা হলেন- জুম্মান (৩৮), মো. আরমান মোল্লা(৩০) ও মো. রাহাত হোসেন (২৫)।

তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। জ্ঞাতসারে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করার অপরাধে গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক এজাহার দায়ের করলে কোতোয়ালি মডেল থানা তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রাহাত ও আরমান সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।