জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দুবাইয়ে পাচার হতে যাওয়া এক তরুণীকে (২৬) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ মে) জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, এ ঘটনায় জড়িত দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে এয়ারপোর্ট থানায় সোপর্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকার মো. আবদুল খালেক (৪৩) এবং কুমিল্লার বড়ুরা থানা এলাকার মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ (৫৩)।

সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে এক কলেজছাত্র ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, পার্লারে কাজ করতে এক ব্যক্তির মাধ্যমে দুবাইয়ে যাচ্ছেন তাঁর বোন। কিন্তু ভিসার কপি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতারকদের সঙ্গে রওনা দিয়ে ফেলেন তাঁর বোন। এমনকি তাঁর বোনের সঙ্গে মোবাইল ফোনও নেই। রাত ৯টায় তাঁর বোনের ফ্লাইট। এ জন্য বিমানবন্দরে আসার কথা রয়েছে প্রতারকদের। এমন অবস্থায় পুলিশের সহায়তা চান তিনি।

জাতীয় জরুরি সেবার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বিমানবন্দর থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়। পরে ঘটোনাস্থল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার এবং দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম জানান, ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।