রাজবাড়ীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হত্যা মামলার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজবাড়ীতে পুলিশের তৎপরতায় হত্যা মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। ওই আসামি গত ১৯ জানুয়ারি স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর আত্মগোপন করেছিলেন। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরপরই কাজ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. লতিফ কাজী (৪৯)।

জেলা পুলিশ জানায়, রাজবাড়ী সদর থানার বার্থা গ্রামের মোছা. বিউটি বেগমের সঙ্গে ১২ বছর আগে একই গ্রামে মো. লতিফ কাজীর বিয়ে হয়। এই দম্পতির একটি মেয়ে (১১) ও একটি ছেলে (০৪) আছে। গত ১৯ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লতিফ কাজী তাঁর স্ত্রী বিউটি বেগমকে ধারালো ছোরা দিয়ে মাথায় কোপ ও গলায় আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর লতিফ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রাজবাড়ী থানায় মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে পুলিশ। আসামি পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ঘটনাস্থলে ফেলে যান। ফলে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারপরও হাল ছাড়েনি পুলিশ। একপর্যায়ে জানা যায়, আসামি পাগলবেশে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল ২৩ মার্চ রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লতিফ কুষ্টিয়া রেলস্টেশন এলাকায় পাগলবেশে ঘোরাফেরা করতেন এবং রাতে রেলস্টেশনেই থাকতেন। মানুষের কাছ থেকে ৫-১০ টাকা চেয়ে খাবার কিনে খেতেন। পরে তিনি রাজমিস্ত্রির জোগালি হিসেবে কাজ করতেন। সেই কাজের টাকা দিয়ে একপর্যায়ে একটি পুরাতন সিমসহ বাটন ফোন কিনে বার্থা গ্রামে তাঁর চাচার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। বিষয়টি রাজবাড়ী থানা-পুলিশ বুঝতে পেরে মোজামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি জানান, লতিফ কাজী তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। এরপর বিভিন্ন সূত্রে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।