পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

স্ত্রীকে হত্যার পর পাগলের ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়তে হয়েছে রাজবাড়ী থানা-পুলিশের হাতে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে কুষ্টিয়া সদর থানাধীন রেলস্টেশন এলাকা থেকে আসামি মো. লতিফ কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ী সদর থানাধীন বার্থা গ্রামে।

পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে নিজ গ্রামের মোছা. বিউটি বেগমকে বিয়ে করেন লতিফ। পারিবারিক কলহের জেরে গত ১৯ জানুয়ারি বিউটিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন তিনি। এরপর আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় রাজবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, পালানোর সময় নিজের মোবাইল ফোন ঘটনাস্থলে রেখে যান আসামি। কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। সম্প্রতি নিজের চাচার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন লতিফ। সেই সূত্র ধরে কুষ্টিয়া রেলস্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে লতিফ পুলিশকে জানান, কুষ্টিয়া রেলস্টেশন এলাকায় পাগলের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খাবার কিনতেন, রেলস্টেশনেই রাত কাটাতেন। একপর্যায়ে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে মোবাইল ফোন কিনে নিজের চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ওসি আরও জানান, লতিফকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।