দেশের ২৮ জেলায় ছড়িয়েছে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ। এ জন্য মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০টি আইসিইউ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

পাশাপাশি জ্বর-কাশি-খিঁচুনির উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

এর আগে, গত সোমবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় দেশের প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় চিকিৎসকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোগী দেখার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে অবশ্যই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে।

জ্বরের সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে। আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস, মাস্ক পরলেই হবে। কেননা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে ওই ভাইরাস ছড়ায় না।

গত ১১ জানুয়ারি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানায়, গত ২২ বছরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩২৬ জন এবং মারা গেছে ২৩১ জন। ‘শীতকালীন সংক্রামক রোগ ও নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ’ শীর্ষক কনফারেন্সে তারা জানায়, নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই রাজশাহীর এক নারী এ ভাইরাসে মারা যান। খেজুরের রস খেয়ে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে নিপাহ ভাইরাস আক্রান্তের তিনটি কেস পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। একজন ছিলেন নওগাঁর, অন্যজন ফরিদপুরের।