ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং করছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

ছোঁ মারা পার্টি নামে পরিচিত সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। খবর ডিএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা হলেন- মো. মিজান, আমিরুল ইসলাম বাবু, শরিফ হোসেন, হৃদয়, মো. রাজ, মো. সুমন, সোহেল বাবু, হৃদয়, মনিরুজ্জামান, মো. নাজমুল, মো. মনির, মো. ইমরান, মো. ফারুক, আশরাফুল ইসলাম সজিব, মো আরিফ ও হাসান। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ১টি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল, ৫০টি সিমবিহীন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইলসেট, ১টি ল্যাপটপ, ৪টি চাকু, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল ও নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) রাজধানীর উত্তরখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।

আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) বলেন, সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী বা ছোঁ মারা পার্টির সদস্যরা বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার কিংবা সিএনজির জানালার পাশ বসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে থাবা অথবা ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গলার চেইনসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয়। এমনকি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও দেশীয় অস্ত্রের (চাকুর) ভয় দেখিয়ে এরা ছিনতাই করে আসছিল। এই ছিনতাইকারী চক্রের বেশির ভাগ সদস্যই মাদকাসক্ত। তাদের দলনেতা হল মহাজন। ছিনতাইকারীরা যে সকল মূল্যবান দ্রব্য-সামগ্রী ছিনতাই করে, মহাজনরা তাদের কাছ থেকে সেগুলো কম দামে কিনে নেন।

তিনি বলেন, মহাজনেরা মোবাইল সামগ্রী কিনে নেওয়ার পর প্রথমে সেটি ভেঙে এর ভিতরে থাকা ডিভাইসগুলো এক এক করে আলাদা করে ফেলে। এমনকি তারা আইএমই নাম্বারও চেঞ্জ করতে পারে এবং দামি মোবাইলের ক্ষেত্রে তারা সেগুলো বিদেশে পাচার করে দেয়। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা যেমন মহাখালী, আমতলী, কাকলী, বনানী, ঢাকা গেইট, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা, জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহপুর এবং টঙ্গী বাস স্ট্যান্ডে এই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী বা ছোঁ মারা পার্টির সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় মামলা করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কায়সার রিজভী কোরায়েশী, পিপিএম-সেবা, কোতয়ালী জোনাল টিমের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।