নোয়াখালীর চাটখিল-সোনাইমুড়ী মহাসড়কের আতঙ্ক মোটরসাইকেল গ্যাংয়ের পাঁচজনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একটি হোটেলে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২৯ জানুয়ারি (রোববার) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম বাদল হোসেন (২৫), রাকিব হোসেন রানা (২৪), শাহ ইমরান হোসেন শান্ত (২০), আহসান হাবিব (২০) এবং নাজমুল হাসান ওরফে বিনয় (২২)। তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় পাইপগান ও একটি ১২ বোর কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ জানায়, গত ১১ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী থানায় দায়ের মামলায় সাইদুল গাজী (২৭) নামের একজন অভিযোগ করেন, তিনি মৃৎ শিল্পের ব্যবসা করেন। বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে মালামালসহ একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেলে করে গত ৮ জানুয়ারি রওনা হন। চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়াগ বাজারের পূর্ব পাশে পৌছামাত্র অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে তাদের পিকআপ ও মোটরসাইকেলেল গতিরোধ করে। এরপর পিকআপ ভ্যানের গ্লাস ভাংচুর করে কর্মচারী আব্দুল্লাহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। এরপর সাইদুলের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা, তার কর্মচারী আব্দুল্লাহর মুঠোফোন, আব্দুল্লাহর নগদ ৫ হাজার টাকা, টিভিএস মোটরসাইকেল এবং পিকআপ ভ্যানের চালক সাগর হোসেন বাদশার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এই মামলার তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে একটি চক্র চাটখিল-সোনাইমুড়ী মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে রাতের বেলা নির্জন স্থানে পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহীদের আক্রমন করে ছিনতাই করছে। পরবর্তীতে নিবিড় তদন্তে জানা যায়, ছয়ানী টবগার চিহ্নিত অপরাধীদের নেতৃত্বে এই ছিনতাই ঘটনা সংঘটিতে হচ্ছে। সংঘবদ্ধ দলটি ৬ থেকে ১২ জনের একটি দল। তদন্তের ধারাবাহিকতায় এই দলের পাঁচজনকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একটি হোটেলে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২৯ জানুয়ারি তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই দলের নেতৃত্বে আছে মাসুম, বাদল ও রাকিব। তাদের মধ্যে মাসুম পলাতক রয়েছে।