নড়াইল সদরের হবুখালী ইউনিয়নের বাঘডাঙ্গা থেকে এক ব্যক্তি রোববার বেলা দেড়টায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, তাঁদের গ্রামে রাতে একটি বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠান হবে। তাঁর প্রতিবেশী মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী এবং বয়স ১৩ বছর। ওই ব্যক্তি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ৯৯৯ এর কাছে আইনি সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান।

৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. জাভেদ কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নড়াইল সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর নড়াইল সদর থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বর-কনেপক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে। উভয় পক্ষ বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সম্মত হয়। নড়াইল সদর থানা-পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই প্রণব রায় ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একই দিন রাত সাড়ে আটটায় রংপুর নগরের কোতোয়ালি থানাধীন আলমনগর থেকে একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তাঁর পাশের বাড়িতে একটি বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, মেয়েটির বয়স ১২/১৩ বছর। মেয়েটির বাড়ি অন্য জায়গায়, এখানে মেয়েটির আত্মীয়ের বাসায় এনে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মোসা ইয়াসমিন তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। কোতোয়ালি থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বর-কনে পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কোতোয়ালি থানা-পুলিশের দলটির নেতৃত্বে থাকা এসআই রাসেল ইসলাম ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।