গাড়িচোর চক্রের গ্রেপ্তার দুই সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

গাড়ি চুরির মামলার তদন্তভার নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আন্তজেলা গাড়িচোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে তারা চুরি হওয়া গাড়িটি উদ্ধার করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুর জেলার মামুনুর রশিদ (৩৬) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)।

১ জুলাই শুক্রবার, মোহাম্মদপুর তিনরাস্তা এবং চাঁদ উদ্যান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৪ জুন গভীর রাতে কেরানীগঞ্জ থানাধীন কামাল মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে একটি নিশান প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো খ ১২-৯০১৩) চুরি হয়। এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১৩ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তারা চুরি যাওয়া গাড়িটি উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে মামলাটি পিবিআইয়ের শিডিউলভুক্ত করা হয়। এরপর পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভারের উদ্যোগ নেয়।

বিধি মোতাবেক পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই আনোয়ার হোসেনের ওপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামিসহ চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন এবং টিম ইনচার্জ এসআই সালেহ ইমরান বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাই। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে আসামি মামুন ও মোজাম্মেল হোসেনকে ১ জুলাই মোহাম্মদপুর তিনরাস্তা এবং চাঁদ উদ্যান এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করি। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ জুলাই ভোররাতে কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন মারিয়া ইপিজেড এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। আসামিরা বিভিন্ন টাওয়ার থেকে ব্যাটারি এবং দোকানের তালা কেটে মালামাল চুরির ঘটনায়ও জড়িত মর্মে স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে এই চক্রের আরও সদস্যের নাম প্রকাশ করেছেন।

পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম (সেবা) জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।