ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের পদগুলোতে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে একধরনের কানাঘুষা ছিল বিভিন্ন মহলে। একে অতীত করে দিতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর নেতৃত্বে খোলনলচে পাল্টে দেওয়া হয় নিয়োগপ্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

যেভাবে হয় নিয়োগ
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ নিশ্চিত করতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া নারী বা পুরুষকে সাতটি ধাপ পার করতে হয়।

ওই ধাপগুলো হলো প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ ও ফিজিক্যাল এনডিউরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা, প্রাথমিক নির্বাচন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তকরণ।

টিআরসিতে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেককে এ সাতটি ধাপের সব কটি পাড়ি দিতে হয়েছে। ফলে প্রক্রিয়াগত কারণেই ‍দুর্নীতির সুযোগ ব্যাপক হারে কমে গেছে।

এর বাইরে কোনো প্রতারক চক্র যাতে চাকরিপ্রার্থীদের ফাঁদে ফেলতে না পারে, সে জন্য জেলা পুলিশ কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দালাল প্রতারক কিংবা অসদুপায় অবলম্বনকারী চক্রের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ পরীক্ষায় আবেদনের সময় ৩০ টাকা আর লিখিত পরীক্ষার ১০০ টাকা ফি ছাড়া আর কোনো টাকা দিতে হয়নি নিয়োগপ্রাপ্তদের। এটাও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগে বড় সাহায্য করেছে।

এ বিষয়ে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ সে সময় বলেছিলেন, সরকারের ভিশন-২০৪১ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশে যোগ্য ও উপযুক্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশ হবে জনবান্ধব। নতুন নিয়মে পুলিশে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করার সুযোগ নেই।