সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘শিশুদের জন্য আমরা’র কর্ণধার হাজেরা বেগমরে সঙ্গে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিসি হামিদা পারভীন পিপিএম। ছবি: পুলিশ নিউজ

এ শিশুদের শৈশবটা কাটতে পারত অনাদরে। অপুষ্টি আর অবহেলা নিয়ে তারা হয়তো বেড়ে উঠত যৌনপল্লিতে। এ থেকে তাদের উদ্ধার করেছেন হাজেরা বেগম। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘শিশুদের জন্য আমরা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যাতে ঠাঁই মিলছে তিন থেকে ১৮ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও তরুণদের।

সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সহায়তায় চলে এ প্রতিষ্ঠান। এতে বিশেষত যৌনকর্মীদের শিশুরা আশ্রয় পেয়ে থাকে। অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও একসঙ্গে মিলেমিশে আছে।

প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা শিশুদের মায়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।
‘শিশুদের জন্য আমরা’র সভাপতি হাজেরা বেগম এবং নির্বাহী পরিচালকদের সহায়তায় এ বিশেষ ক্যাম্পেইনে উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহযোগী এনজিও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং মেরী স্টোপসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং সোসাইটিতে শনিবার ‘শিশুদের জন্য আমরা’তে একরাশ ভালোবাসা নিয়ে হাজির হন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপকমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভীন পিপিএম।

ওই সময় তিনি সহকর্মীদের নিয়ে সময় কাটিয়েছেন কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে। যৌনকর্মী, নারী শ্রমিকসহ আরও অনেক মাকে সচেতন করেছেন। এখানে আশ্রয় পাওয়া কিশোরীদের সচেতন করেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। তিনি ও তার টিম ঘুরে দেখেছে, এখানের শিশুদের যাপিত জীবন।

‘শিশুদের জন্য আমরা’ নামের প্রতিষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। ছবি: পুলিশ নিউজ

পরিশেষে সবার জন্য উন্নত খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শেষ করে ডিসি হামিদা।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের নির্ভরতার প্রতীক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। এ ডিভিশন সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা সংশ্লিষ্টদের সেবায় নিয়োজিত।