মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে দেশটির জান্তা সরকার। তাদের এ কৌশল ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই ওই অঞ্চলে বড় ধরনের মানবাধিকার বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। খবর বাসসের।

জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ডুস বলেন, ‘আমাদের সকলের প্রস্তুত থাকা উচিত। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের মানুষ গণহত্যার মুখোমুখি। আমি আশা করছি, আমার এই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হোক।’

জাতিসংঘে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট উপস্থাপনকালে অ্যান্ডুস বলেন, তিনি তথ্য পেয়েছেন যে মিয়ানমার দেশটির দুর্গম উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার সেনা এবং ভারী অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্যগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, সামরিক জান্তা মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার আগে যেভাবে সামরিক সমাবেশ করা হয়েছে, এবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে একইভাবে সামরিক সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে।

মিয়ানমারে গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই সেখানে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক গ্রুপের হিসাবে দেশটিতে জান্তা বিরোধীদের ওপর চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযানে ১১ শ’র বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। জান্তা বিরোধী বিক্ষোভের শুরু থেকে হাজারো মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।