সবশেষ তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও পরাজিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে ছন্দ খুঁজে পাওয়া দলটির আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার মতে, শিরোপার জোর দাবিদার তারাও। খবর বিডিনিউজ২৪ডটকমের।

যদিও এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেনি দেশটি। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে তাদের সেরা সাফল্য ২০০৯ ও ২০১৪ আসরের সেমিফাইনালে ওঠা। এবার নতুন উচ্চতা ছোঁয়ার স্বপ্ন বাভুমার চোখে।

টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার। রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসির চেয়ে চলতি বছর এই সংস্করণে বেশি উইকেট নিতে পারেননি কেউ। ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে তাদের প্রতিনিধি কিপার-ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক।

দারুণ সব ক্রিকেটারকে নিয়ে গড়া দলটি গত তিনটি সিরিজের দুটিতে জেতে দাপটের সঙ্গে। আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের করে হোয়াইটওয়াশ। এর আগে ক্যারিবিয়ানে ৫ ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে।

সঠিক সময়ে ছন্দ খুঁজে পাওয়ায় দলের ওপর দারুণ আস্থা বাভুমার। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অধিনায়কদের মিডিয়া সেশনে তিনি নিজেদের সম্ভাবনার কথা বললেন।

‘আমরা অনেক ক্রিকেট খেলেছি, ইতিবাচক কিছু ফলও পেয়েছি। যেটা দল হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য ভালো হয়েছে, বিশেষ করে তরুণ ও মোটামুটি অনভিজ্ঞ একটি দলের জন্য।’

‘ছেলেরা একে অপরের সঙ্গে খেলার, একে অপরকে জানার সুযোগ পেয়েছে, যেটা ছিল দারুণ। আমি মনে করি, এই সমস্ত জ্ঞান এবং শিক্ষা আমরা সামনে বয়ে নেব এবং ভালো কাজে লাগাব।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে দক্ষিণ আফ্রিকা রাখেনি ফাফ দু প্লেসিকে। অনেকটা সময়জুড়ে আলোচনা হলেও অবসর ভেঙে ফেরেননি বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাই দলটিকে শক্তির বিচারে অনেকেই পিছিয়ে রাখছেন।

বাভুমা অবশ্য আমলে নিচ্ছেন না এসব। বললেন, দল হিসেবে খেলে ভালো করতে মুখিয়ে আছেন তারা।

‘বড় নাম না থাকায় বাইরের মানুষের কাছে আমাদের দল নিয়ে সম্ভবত তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। তবে দল হিসেবে আমাদের একটা প্রত্যাশা রয়েছে।’

‘আমরা এখানে অবশ্যই (দলের) সংখ্যা বাড়াতে বা এমন কিছুর জন্য আসিনি। আমরা মিলিতভাবে আমাদের কাজ করেছি, এটাই আমাদের জন্য বড় বিষয়।’

আগামী ২৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে সরাসরি সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা।