ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পশুবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের কোনো সদস্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত থাকলে কোনো ছাড় নেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স।

কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থেকে পুলিশ সদস্যরা চাঁদা আদায় করেছেন বলে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়। ওই দিনই রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান, কনস্টেবল মো. নাজির শেখ, কনস্টেবল যুগল মন্ডল ও কনস্টেবল তানভীর হোসেন আকাশকে সাময়িক বরখাস্ত করেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার।

এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম)-কে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানিয়েছে, কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি অথবা কাউকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপরাধী যে-ই হোক, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।