হবিগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় এজাহারনামীয় তিন আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চার আসামি হলো নাইমুর রহমান (১৯), হৃদয় মিয়া (২২), সুজাত মিয়া (২৩) ও জুয়েল মিয়া (২৫)। র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামির একজন হলো মিঠু মিয়া।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ আগস্ট স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী (২০) ও বন্ধুকে নিয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে বের হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাওরে তাঁদের নৌকার গতিরোধ করে মুসা মিয়া (২৬) ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপর ওই গৃহবধূর স্বামী, তাঁদের বন্ধু ও নৌকার মাঝিকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর স্বামী, তাঁদের বন্ধু ও মাঝিকে নৌকার সঙ্গে বেঁধে স্থানীয় একটি জায়গায় নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই গৃহবধূ চেতনা হারানোর পর তাঁর স্বামী ও বন্ধুকে আবারও মারধর করে দুর্বৃত্তরা। এতে তাঁরাও অচেতন হয়ে পড়লে তিনজনের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন মুসা মিয়া ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপর তাঁরা সেই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই নবদম্পতি ও তাঁদের বন্ধুর কাছে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ছাড়া মামলা করলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

পরে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তাঁর বন্ধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলের (ওসিসি) মাধ্যমে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর নবদম্পতির বন্ধু আদালতে অভিযোগ দিলে লাখাই থানায় মুসা মিয়াকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি নাইমুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গ্রেপ্তার হন মিঠু। তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাঙামাটির নানিয়ারচর থানা থেকে হৃদয় মিয়া, সুজাত মিয়া ও জুয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরাও জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।