গত ৭ দিনে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ২টায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৯ জন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মহাদেশে দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে সব চেয়ে বেশি শনাক্ত হচ্ছে। ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ভাইরাস দুটিই কিন্তু অবস্থান করছে। সংক্রমণ হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে নতুন যে ভেরিয়েন্ট, তারই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।

ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, গত ১ সপ্তাহে বাংলাদেশে ১০ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। ৭ দিনে দেড় লাখ টেস্ট হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭ দিনে ৬ হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ আগের সপ্তাহের তুলনায় পরের সপ্তাহে রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জন। গত ৭ দিনে ২০ জনের মৃত্যু দেখেছি করোনায়। যদিও আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃত্যু ২০ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘গত ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা প্রায় দ্বিগুণ শতাংশ রোগী পেয়েছি। ৫ জানুয়ারি ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, ১১ জানুয়ারি এসে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে। গত ৭ দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তারপর থেকে এটা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা শুধু একই ধারায় বৃদ্ধি হচ্ছে তা না, প্রোগ্রেসিভলি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। পুরো ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৫৮৮ রোগী আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি, সেখানে জানুয়ারির মাত্র ১১ দিনে ১২ হাজার ৮৫০টি রোগী ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। অনেকেই টেস্ট করছেন না। সবাই যদি টেস্ট করতেন এবং সংক্রমিত যেসব সিম্পটমিক যেসব রোগী আছেন, তাদের সবাইকে টেস্ট করলে হয়তো সংখ্যাটা আরও অনেক বৃদ্ধি পেত।’