প্রতীকী ছবি

বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার এবং লাশ বহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) গাজীপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে ভুক্তভোগীর স্বামী মেহেদী ও বাড়ির মালিক স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের আকুয়া-রহমতপুর বাইপাস রোডের বাদেকল্পা এলাকা থেকে অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মৃতের নাম তাছলিমা (৩২)। তিনি নান্দাইলের ভাসাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা আব্দুর রশিদ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

তদন্তে জানা যায়, তাছলিমার সঙ্গে ফুলপুরের মেহেদীর বিয়ে হয়। এটি ছিল তাছলিমার তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে চট্টগ্রামে থাকতেন তাঁরা। গত ১১ অক্টোবর গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার স্বপনের বাসা ভাড়া নেন তাঁরা। পরদিন ১২ অক্টোবর রাতে তাছলিমাকে হত্যা করে পালিয়ে যান তাঁর স্বামী মেহেদী।

পুলিশ জানায়, ১৩ অক্টোবর সকালে তাছলিমা ও মেহেদীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে ওই বাসায় যান বাড়ির মালিক স্বপন। ভেতরে ঢুকে তাছলিমার লাশ দেখতে পান তিনি। বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে আকুয়া-রহমতপুর বাইপাসের বাদেকল্লা এলাকায় তাছলিমার বস্তাবন্দি লাশ ফেলে পালিয়ে যান স্বপন ও তাঁর সহযোগীরা।

আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় পুলিশ।