গ্রেপ্তার ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে পাঠানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

দুদকের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করা একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এমন চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

পুলিশ জানায়, চক্রটি দুদকের ওয়েবসাইটে থাকা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করত। পরে ওই সব অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার কথা বলে নিজেদের দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত।

গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সেলিম ওরফে তানভীর ইসলাম ওরফে শফিকুর রহমান, মো. সোহাগ পাটোয়ারী, আব্দুল হাই সোহাগ ও মো. আজমীর হোসেন।

১৪ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড, বাংলা টিভি ৭১ এর মাউথ পিস, পত্রিকা, মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭টি ভুয়া আইডি কার্ড, দুদকের বিভিন্ন প্রতিবেদনের কপি জব্দ করা হয়।

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, দুদকের নামে ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৩ আগস্ট রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সেলিম আগে নির্মাণশ্রমিক ছিল। আর সোহাগ পাটোয়ারী ডিজে পার্টিতে কাজ করত।

খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, চক্রটি প্রতিটি কাজে ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা করে নিত। এ ক্ষেত্রে তারা দুদক কার্যালয়ের সামনে অথবা সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির নাট্যমঞ্চ এলাকার আশপাশে টার্গেটদের আসতে বলে নগদ অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিত।

গ্রেপ্তার ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।