ঢাকার সঙ্গে যশোরের বেনাপোল পথে চলা একমাত্র ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে আবার চালু হবে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে এ ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হলে ৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তনগর এ ট্রেনটিও বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল ভারত যাতায়াতকারী বিশেষ করে অসুস্থ যাত্রীদের ।

বেশ কিছুদিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে বেনাপোল এক্সপ্রেস চালুর দাবি তোলেন অনেকে।

এদিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস চালুর খবরে ভারত যাতায়াতকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
সাজেদুর জানান, করোনাভাইরাস শুরুর আগে প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পারাপার হত। অতিমারির মধ্যে লোকসানের কারণে বেনাপোল এক্সপ্রেস’ বন্ধ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য ট্রেন চালু হলেও এ ট্রেন বন্ধ ছিল।
মহামারির মধ্যেও প্রতিদিন এক হাজার যাত্রী পারাপার হয়েছে। যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীকে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

আমদানিকারক আবু নিদাল মোহম্মদ ফয়সল বলেন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতাগামী যাত্রী ও বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর। সড়ক পথের বেহাল দশা, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরিঘাটে যানজটসহ সড়কপথে নানা প্রতিবন্ধকতায় নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।

‘বেনাপোল থেকে ঢাকায় বাস বা অন্যান্য পরিবহনে ১২-১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। সেখানে মাত্র ৭ ঘণ্টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌঁছে যায়।’
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন বেলা ১টায় বেনাপোল এবং রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। ফলে কলকাতা বা ভারতে চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কারণে যেসব যাত্রী বেনাপোল আসেন, তাঁদের কিছুটা হলেও স্বস্তি বাড়ল।

বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকায় যাত্রীপ্রতি এসিতে ভাড়া ১ হাজার ১১৬ টাকা, ননএসিতে ৪৮৫ টাকা। ঢাকা থেকে এসি স্লিপার ভাড়া ১ হাজার ৭৮১ টাকা ও নন-এসিতে ভাড়া ৪৮৫ টাকা।