সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালীর সুধারাম থানাধীন কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা এলাকার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যার রহস্য মাত্র ২৪ ঘণ্টায় উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ মে) নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার (৮ মে) সকালে সুধারাম থানাধীন কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তদন্তের একপর্যায়ে জানা যায়, অর্ধগলিত মরদেহটি কক্সবাজারের মহেশখালী থানা এলাকার ওমর ফারুখের (৩২)।

পুলিশ সুপার জানান, রোববার দিবাগত রাতে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় সুধারাম মডেল থানার একটি দল চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি আনছারুল করিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি মহেশখালী থানা এলাকায়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, রমজানের ১৮ তারিখ করিমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শারমিনের তালাক হয়। সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন আসামি। এ জন্য দূরসম্পর্কের মামাকে (ভুক্তভোগী) গত ৫ মে রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।

এসপি জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার সুধারাম থানায় একটি মামলা করে। এই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।