ভূমিকম্পে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি ও সড়ক। ছবি-সংগৃহীত

জাপানে আঘাত হানা ১৫৫টি শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে বলে জানিয়ে বিবিসির বলেছে, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ।

সোমবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তারপর একে একে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে মোট ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাসদস্যদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার উদ্ধারকারী।

এদিকে সোমবার ভূমিকম্পের পরপরই জাপানে ‘বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়। যদিও পরে সেটি কমিয়ে শুধু ‘সুনামি সতর্কতা’ করা হয়। এসময় পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সোমবার রাতে এক জরুরি বৈঠকের পরে বলেছেন, যে কোনো উপায়ে দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য আমি জরুরি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি।

জাপানে এখন তীব্র শীত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্লেন বা জাহাজ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পানি, খাবার, কম্বল, তেল, পেট্রোল, জ্বালানি তেল সরবরাহ করার জন্য আমি নির্দেশনা জারি করেছি।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিলো জাপানের টোহুকু শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের ফলে ওই অঞ্চলে ১০ মিটার (৩৩ ফিট) উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে। সরকারি তথ্য মতে, সুনামিতে ১৩ হাজার তিনশ’ ৩৩ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়। এছাড়াও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ৪৮ লাখ মানুষ ।