দেশের ১৩ জেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারে। এর বাইরে আরও দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানতে পারে। সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা ও পটুয়াখালীতে।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। খবর সমকালের।

১৩ জেলার মধ্যে রয়েছে—সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার নয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলের সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। সিত্রাং পুরোটাই বাংলাদেশে আঘাত হানবে, ভারতে কোনো আঘাত হানবে না।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ৭ হাজার ৩০টি শেল্টার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে আনা হচ্ছে। সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড একসঙ্গে কাজ করছে। ১৫ জেলায় ২৫ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শেল্টারগুলোতে শুকনো ও রান্না খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।